জীবনে কোন কিছু পেতে হলে তার জন্য স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বাধা পেরোতে হয়।
মেয়েরা যদি কিছু করতে চায় তার জন্য মেয়েরা নিজেদের শারীরিক গঠন, পরিবার ও সমাজকে প্রধান বাধা হিসেবে দেখে। যে কোন বাধা পেরোতে তার গোঁড়ায় যেতে হয়। এখন প্রশ্ন হল নানারকম বাধার মূলটা কোথায়? মূল হল আমাদের চিন্তার গঠনে। আর এই চিন্তার গঠন পরিবার ও সমাজ থেকেই আসে। চিন্তার সীমাবদ্ধতা নিয়ে বেড়ে ওঠা একজন মেয়ে জন্ম দেয় আরেকটা চিন্তায় সীমাবদ্ধ সন্তান। আর এভাবেই বাধার পাহাড় বড় হতে থাকে।
অথচ আল্লাহ্ মেয়েদেরকে তার নিজস্ব ক্ষমতা ও গুণাবলী দিয়ে এমন ভাবেই বানিয়েছেন যেন তারা দুনিয়াতে সব রকম বাধাই পেরোতে পারে।
এখন কথা হল, একটা মেয়ে এসব বাধা থেকে পার পাবে কিভাবে?
যে কোন বাধা পেরোনোর দুইটা উপায় হলঃ
১। তুমি কি চাও আর কেনই বা তা চাও তার স্পস্ট ধারানা তৈরি করা।
২। দৃঢ় সংকল্প থাকতে হবে।
এই দুইটা বিষয় তুমি যখন মনের মধ্যে সাজিয়ে গেঁথে ফেলতে পারবে তখন বাধার পাহাড় না বরং পাহাড়ের ওপারে লক্ষ্যে তোমার দৃষ্টি পৌঁছাবে। তখন আস্তে আস্তে একটার পর একটা বাধা পেরোতে তোমার আর কষ্ট হবেনা। বরং বাধাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তার মুখোমুখি হওয়ার সাহস পাবে। বাধাগুলো সব তখন প্রাকৃতিক ভাবে তোমাকে তোমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য শুরু করবে।
তবে তুমি যাই চাওনা কেন সে চাওয়া যেন উদ্দেশ্যপূর্ণ হয়, তোমার নিজের, পরিবার ও সমাজের উন্নতির জন্য হয়। স্বার্থপর চাওয়া পূরণ হলেও তুমি প্রকৃত সুখি হতে পারবেনা, একাকীত্বে ভুগবে এবং তোমার জীবনকে অর্থহীন করে দিবে।
শুরু কর তোমার স্বপ্নের যাত্রা এখন থেকেই। বাধা না বরং স্বপ্ন হাতে পেলে কি করবে তাও সাজিয়ে নাও নিজের মধ্যে।