You are currently viewing ট্রোল থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন কিভাবে?

ট্রোল থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন কিভাবে?

একদিন আপনি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন। হঠাৎ একজন আপনার পাশে এসে আপনাকে ভেংচি কাটতে থাকলো। আপনি তাকে পাল্টা উত্তর দিলেন। অমনি সে দিগুন উৎসাহে আপনাকে আরো উল্টাপাল্টা যা মন চায় তাই বলতে শুরু করলো। তার মুখের দুর্গন্ধযুক্ত কথা আপনাকে ক্ষিপ্ত করা শুরু করল। আর অনর্থক নোংরা কথা আপনার মনের শক্তিকে কমাতে শুরু করল। সেই ব্যাক্তিটি এবার বানরের মত আপনার মাথায় উঠে নাচার সুযোগ পেয়ে গেল!

এবার কল্পনা করুন সোশ্যাল মিডিয়া সেই রাস্তা আর এই ব্যাক্তিটির রুক্ষ ও অর্থহীন কথা হল ট্রোল। আপনি পাত্তা দিলেন তো সে দিগুন উৎসাহে তার দুর্গন্ধময় কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

ট্রোল করা, দেখা, শোনা বা তাতে অংশগ্রহণ যারা করে তারা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কারন ট্রোলের একমাত্র উদ্দেশ্য রাগানো। আপনি রাগলেন তো ফাঁদে পরলেন, আর এই রাগই ট্রোলকারীর কাজের খোঁড়াক।

এবার আসি কেউ আপনাকে নিয়ে ট্রোল করলে কিভাবে তা প্রতিহত করবেন।

১। সোস্যাল মিডিয়া একটা স্পেস এবং এর মধ্যেও আসল দুনিয়ার মত অনেক নোংরা জিনিস জমা হয়। আর যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাস্টবিন নেই তাই ময়লা আর নোংরা বিষয়গুলো যত্রতত্র পড়ে থাকে। তো যখন আপনি রাস্তাঘাটে নোংরা জিনিস দেখেন তখন কি করেন? অবশ্যই তা তাকিয়ে দেখেন না বরং আপনি নাক সিঁটকে সরে পড়েন। ঠিক তেমনি ভার্চুয়াল জগতের নোংরা ট্রোল গুলো চোখে পড়ে গেলে উপেক্ষা করবেন। মনে রাখবেন ট্রোল বিষয়টাই একটা নোংরা এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয়। আর আপনার জীবনের সময় অনেক মূল্যবান। তাই ট্রোল আপনাকে নিয়ে করা হোক বা অন্য কাউকে নিয়ে, এতে একদম অংশগ্রহন করবেন না।

২। অনেকে আছেন ভীষণ আবেগপ্রবণ। যারা ট্রোল দেখে দুঃক্ষে ভারাক্রান্ত হন এবং ট্রোলকারীদের উপর আক্রোশে ফেটে পড়েন। এক্ষেত্রে আবেগকে নিজের কন্ট্রোলে রাখতে একটা মজার কাজ করতে পারেন। ট্রোলকারীর সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলতে পারেন অথবা সহানুভূতিশীল আচরণ করতে পারেন। এটা করা সহজ হবে যখন আপনি জানবেন কারা ট্রোল করে।

আসুন জেনে নেই কারা ট্রোল করে এবং তাদের উদ্দেশ্য কিঃ

* যাদের সামাজিক ব্যবসা ট্রোল করা।

* যারা জীবনের উদ্দেশ্য জানেনা।

* যারা সময়ের মূল্য জানেনা।

* যারা একাকীত্বে ভোগে এবং অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবতে চায়।

* অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বসবাস। যারা মস্তিষ্ককে অলস করে রেখেছে।

* কেউ আছে হুজুগে করে। যেমন সবাই করছে তাই আমিও করি।

* যারা অন্যের কাজকে হেয় করে নিজের কৃতিত্ব জাহির করতে চায়।

* রাগিয়ে বা খুঁচিয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ তার উদ্দেশ্য।

* যারা বোকা

 

আপনি এখন যখন জানলেন কেমন হয় একজন ট্রোলকারী, অতএব তাদের প্রতি রাগান্বিত না হয়ে সহানুভূতিশীল হোন। তার করা ট্রোল একটা অর্থহীন মজা হিসেবে গন্য করুন। বন্ধুত্বের মাধ্যমে তাকে বোঝাতে পারেন ট্রোল করে সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কারন ট্রোল করে তার সময় ও মন দুটোই নষ্ট হচ্ছে।

অতএব পরবর্তীতে ট্রোল দেখলে করনীয়ঃ

১। উত্তেজিত না হয়ে ট্রোলটি উপেক্ষা করে যাবেন। মনে রাখবেন আপনার সময়ের অনেক মূল্য। ট্রোল দেখে এবং তার জবাব দিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।

২। ট্রোলকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বন্ধুতের মাধ্যমে সঠিক পথে আনার চেষ্টা করতে পারেন।

কোন সন্দেহ নাই ট্রোল এখন একটি সামাজিক সমস্যা আর সমাধান একটাই ট্রোল ও ট্রোলকারীদের উপেক্ষা করা। শুধু নিজেকে নিয়ে করা ট্রোলই না বরং অন্যকে নিয়ে করা ট্রোলকেও উপেক্ষা করতে হবে।

ভিডিও দেখতে নিচের  লিঙ্ক- এ ক্লিক করুনঃ

ট্রোল থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন কিভাবে?

Raoman Smita

Environment Activist, Global Leader, Life Coach, Author and Advocate in the Supreme Court of Bangladesh